১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের এএসপি পলাশের আত্মহত্যার কারণ জানালেন তার ভাই

চট্টগ্রামে র‌্যাবের কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার আত্মহত্যার কারণ জানালের তার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা। আজ বুধবার (৭ মে) চট্টগ্রাম র‌্যাব কার্যালয়ের নিজ অফিস থেকে পলাশ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পলাশ সাহার লাশের পাশ থেকে চিরকুট পাওয়া যায়। তিনি র‌্যাব-৭ এ কর্মরত ছিলেন। চিরকুটে তার নিজের মৃত্যুর জন্য স্ত্রী বা মাকে দায়ী করেননি। নিজেকে দায়ী করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। পলাশ সাহা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে।

মৃত পলাশ সাহার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা জানান, দুই বছর আগে ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় পলাশের বিবাহ হয়। বিয়ের ৬/৭ মাস পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। প্রতিদিন কিছু না কিছু নিয়ে পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা পরিবারে ঝামেলা করতেন। মা আরতি সাহা ছেলে পলাশের সংসারে চট্টগ্রামে থাকতেন। এটা পলাশের স্ত্রী মেনে নিতে পারতেন না। তিনি সব সময় শাশুড়িকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য পলাশকে চাপ দিতেন। পলাশ মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইতেন না। পলাশ মা ও স্ত্রী দুইজনকেই ভালোবাসতেন।

নন্দ লাল সাহা বলেন, ‘‘আজ বুধবার (৭ মে) সকালে সামান্য বিষয় নিয়ে আমার মা আরতি সাহা ও ভাই পলাশ সাহার গায়ে হাত তোলেন সুস্মিতা সাহা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি আমার ভাই। আর এ কারণেই আমার ভাই পলাশ সাহা আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা।’’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অপারেশন সিন্দুর: ভারতে ২০০ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন বাতিল, বন্ধ ১৮ বিমানবন্দর

চট্টগ্রামের এএসপি পলাশের আত্মহত্যার কারণ জানালেন তার ভাই

Update Time : ০৫:৪৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

চট্টগ্রামে র‌্যাবের কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার আত্মহত্যার কারণ জানালের তার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা। আজ বুধবার (৭ মে) চট্টগ্রাম র‌্যাব কার্যালয়ের নিজ অফিস থেকে পলাশ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পলাশ সাহার লাশের পাশ থেকে চিরকুট পাওয়া যায়। তিনি র‌্যাব-৭ এ কর্মরত ছিলেন। চিরকুটে তার নিজের মৃত্যুর জন্য স্ত্রী বা মাকে দায়ী করেননি। নিজেকে দায়ী করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। পলাশ সাহা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে।

মৃত পলাশ সাহার মেঝ ভাই নন্দ লাল সাহা জানান, দুই বছর আগে ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় পলাশের বিবাহ হয়। বিয়ের ৬/৭ মাস পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। প্রতিদিন কিছু না কিছু নিয়ে পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা পরিবারে ঝামেলা করতেন। মা আরতি সাহা ছেলে পলাশের সংসারে চট্টগ্রামে থাকতেন। এটা পলাশের স্ত্রী মেনে নিতে পারতেন না। তিনি সব সময় শাশুড়িকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য পলাশকে চাপ দিতেন। পলাশ মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইতেন না। পলাশ মা ও স্ত্রী দুইজনকেই ভালোবাসতেন।

নন্দ লাল সাহা বলেন, ‘‘আজ বুধবার (৭ মে) সকালে সামান্য বিষয় নিয়ে আমার মা আরতি সাহা ও ভাই পলাশ সাহার গায়ে হাত তোলেন সুস্মিতা সাহা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি আমার ভাই। আর এ কারণেই আমার ভাই পলাশ সাহা আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা।’’